নাম তার আলামিন। জুম বাংলাদেশ স্কুল, রংপুর শাখার প্রথম শ্রেণির ছোট্ট ছাত্র সে। বয়স খুব বেশি নয়, কিন্তু জীবনের বোঝা অনেক বড়। মা-বাবা নেই তার জীবনে, মানুষ হচ্ছে নানা-নানির কাছে। নানাই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম, কিন্তু আজ তিনি অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি। সংসারের হাল এখন সেই ছোট্ট আলামিনের হাতে।
আজও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাদাম আর পপকর্ন হাতে নিয়ে স্টেশন থেকে হেঁটে এসেছে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত। অনেক কিছু এখনও বিক্রি হয়নি—তবুও ক্লান্ত চোখে আশা জ্বলজ্বলে। কারণ, সে জানে—এই জীবনের মাঝেও পড়াশোনা করে নিজেকে বদলে নেওয়া সম্ভব।
আমাদের স্কুলে এমন অনেক শিশুই আছে—যাদের জীবনের গল্পগুলো এমনই কঠিন। কেউ কাজ করে মাছ বা মুরগির দোকানে, কেউ ফেরি করে ডিম বা পেয়ারা। কিন্তু একটা জায়গায় তারা সবাই এক—তারা লড়ছে, স্বপ্ন দেখছে, মানুষ হবার চেষ্টা করছে।
জুম বাংলাদেশ স্কুল তাদের সেই স্বপ্নে আস্থার নাম। আমরা চেষ্টা করি, এই শিশুরা যেন একদিন নিজের জীবনের গল্প বদলে দিতে পারে। কিন্তু এই যাত্রা একা সম্ভব নয়—আপনার, আমার, আমাদের সবার সহযোগিতাই পারে এই পথকে আলোয় ভরিয়ে তুলতে।
আসুন, আমরা আলামিনদের পাশে দাঁড়াই। সবাই মিলে একটি সুন্দর আগামী গড়ি।